বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে হদিশ মিলল জাল নোট তৈরির কারখানার। বিষ্ণুপুরের সত্যজিৎ সরণির একটি স্টুডিয়োতে জাল নোট তৈরি হত বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ওই স্টুডিও থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে জাল নোট। গ্রেফতার করা হয়েছে গুরুপদ আচার্য নামে এক ব্যক্তিকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে জয়পুর থানার গোপালনগর গ্রামে একটি মেলায় জিনিস কেনার সময় গুরুপদ দোকানদারকে ৫০০ টাকার নোট দেয়। তার পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বুধবার গভীর রাতে গুরুপদর দোকান ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিস প্রচুর জাল নোট, প্রিন্টার উদ্ধার করে।
জেরায় পুলিস জানতে পেরেছে, ওই দোকান থেকে জাল নোট প্রিন্ট করত গুরুপদ। তবে সেই নোট কীভাবে বাজারে সরবরাহ করত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। তদন্তে উঠে এসেছে, বিভিন্ন মেলায় জুয়ার আসরের মাধ্যমে জাল নোট ছড়ানো হত।
আরও পড়ুন: Face packs with Oats: গরমে ত্বক ভাল রাখতে দারুণ কাজের ওটসের ফেস প্যাক
জাল নোটের রমরমা নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষের তুলনায় ২০২১-২২’এ ৫০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১০১.৯ শতাংশ এবং ২০০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ৫৪.৬ শতাংশ।
শুধু ৫০০ আর ২ হাজার টাকার নোট নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ২০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১১.৭ শতাংশ, ২০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১৬.৫ শতাংশ এবং ১০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১৬.৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের আগে বাজারে নগদ ছিল ১৮ লক্ষ কোটির কাছাকাছি। এখন বাজারে নগদের পরিমাণ প্রায় ৩১ লক্ষ কোটি।